জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তৎকালীন ছাত্রনেতা নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে তুলে নেওয়ার পর ডিজিএফআই এর টর্চারসেলে আটকে রাখা হয়েছিল।
বুধবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আয়নাঘর পরিদর্শনে গিয়ে ডিজিএফআইয়ের সেই দুই টর্চারসেল চিনতে পারার কথা জানিয়েছেন নাহিদ ও আসিফ।
আয়নাঘর পরিদর্শনের পর নাহিদ জানান, তাকে যে কক্ষে আটকে রাখা হয়েছিল সেই কক্ষের একপাশে টয়লেট হিসেবে একটি বেসিনের মতো ছিল। ৫ আগস্টের পর এই সেলগুলোর মাঝের দেয়াল ভেঙে ফেলা হয়, দেয়াল রং করা হয়।
পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে আসিফ মাহমুদ ওই কক্ষের তিনটি ছবি দিয়ে লেখেন, আমাকে ২০-২৪ জুলাই আয়নাঘরের এই কক্ষে গুম করে রাখা হয়েছিল। নাহিদ ভাইকেও রাখা হয়েছিল একই ভবনের অন্য একটি সেলে। দেয়ালের টেক্সচার দেখে চিনতে পেরেছি। দেয়ালের ছিদ্রগুলোতে এক্সস্ট ফ্যান ছিল।
জুলাইয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় নাহিদ ও আসিফকে সাদা পোশাকে তুলে নেওয়া হয়। পরে তাদেরকে আয়নাঘরে আটকে রাখা হয়েছিল।
আজ গণমাধ্যমকর্মীদের নিয়ে আয়নাঘর পরিদর্শনে গিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সেখানে গিয়ে তিনি প্রমাণ হিসেবে রাখার জন্য আয়নাঘরগুলো সংরক্ষণের নির্দেশ দিয়েছেন।
খুলনা গেজেট/এনএম